বিশেষ প্রতিনিধি:সাইফুল ইসলাম তুহিন
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুহাম্মদপুর দারুল কুরআন মাঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা ও এতিমখানা-তে আসন্ন ২০২৬ সালের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি শক্তিশালী আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি শুধু একটি অনুষ্ঠান আয়োজনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন, ঐক্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথচলায় একটি আশাব্যঞ্জক যাত্রার সূচনা করেছে।
আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা আরিফুল ইসলাম
যুগ্ম আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান
সহঃ যুগ্ম আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ আফসার উদ্দিন, আশিকুল ইসলাম রাফুল
সদস্য সচিব: হাফেজ মাওলানা নুর উদ্দিন
অর্থ সচিব: হাফেজ মাওলানা শামীম উদ্দিন
সহঃ অর্থ সচিব: হাফেজ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
প্রচার সম্পাদক: হাফেজ মাওলানা আজগর হোসেন
সহঃ প্রচার সম্পাদক: হাফেজ মুফতি সাজিদুর রহমান রাকিব
সদস্যবৃন্দ:
হাফেজ মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন
হাফেজ মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ
হাফেজ মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন
হাফেজ মুহাম্মদ আখতার হোসেন
হাফেজ মাওলানা মে’রাজুল ইসলাম
হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান
মাওলানা হাসান মাহমুদ
হাফেজ মুহাম্মদ ফিরোজ আলম
হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ
হাফেজ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন
হাফেজ মুহাম্মদ নেওয়াজ মুরশিদ
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা মাদ্রাসাটির উন্নয়ন ও বৃহত্তর কল্যাণে যেসব মহৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি মাদ্রাসা নয়, বরং একটি সামাজিক ও মানবিক দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান।
কিতাব, হিফজ ও নাজেরা বিভাগের মানোন্নয়নের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ইংরেজি ভাষা ও সমসাময়িক বিষয়ের উপর বিশেষ ক্লাস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতিম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক সহায়তা এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য আলাদা মনিটরিং সেল গঠনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
শিক্ষাজীবন শেষে ছাত্রদের মসজিদ-মাদ্রাসা ও বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য “ফারিগ ছাত্র কল্যাণ ফোরাম” গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসার দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম চালাতে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য ‘ওয়াক্ফ ফান্ড’ গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে সবাই নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পারেন।
কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে আন্তরিক আহ্বান জানানো হয়েছে—
“আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাই। স্মৃতির বন্ধনকে নবউদ্যমে জাগ্রত করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আলোকিত প্রতিষ্ঠান উপহার দিই।”
মুহাম্মদপুর দারুল কুরআন মাঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা ও এতিমখানা কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়— এটি একটি আত্মিক মিলনের নাম, একটি সমাজগঠনের নাম। ২০২৬ সালের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার এক অপূর্ব উপলক্ষ। ইনশাআল্লাহ, এই অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা মাদ্রাসাটিকে নিয়ে যাবে এক নতুন উচ্চতায়।