নোয়াখালী প্রতিনিধি :
অজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল হক রায়হান এবং তার স্ত্রী সামিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল হক রায়হানের স্ত্রী সামিয়া শারমিন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের আইনজীবী এডভোকেট মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক নোয়াখালীর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্মায় চক্রবর্তী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাহিরুল হক রায়হান ২০১১ সালে প্রথমবার কবিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে আরও দুই মেয়াদে এই পদে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। মেয়র থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক জাহিরুল হক রায়হান এবং তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন, যিনি একজন গৃহিনী, তাদের আয়ের কোনো বৈধ উৎস বা ব্যাবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এরপরও নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম আলীপুর মৌজায় জমিসহ একটি চারতলা বাড়ি পাওয়া গেছে। দুদকের যাচাইকালে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা বলে প্রতীয়মান হয়। অনুসন্ধানকালে আরও দেখা যায় যে, জহিরুল হক রায়হান এবং সামিয়া শারমিন পরস্পর যোগসাজশে এই স্থাবর সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগদখল করছেন।
এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল হক রায়হানের স্ত্রী সামিয়া শারমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।তিনি বর্তমানে নোয়াখালী কারাগারে রয়েছেন।