বিশেষ প্রতিনিধি :সাইফুল ইসলাম তুহিন
১৭ জুলাই ২০২৫ নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো "জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লব-বিভ্রান্তি-পথচলা" শীর্ষক এক বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভা, যেখানে জাতির অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকচিত্র নিয়ে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত।
প্রধান আলোচক ডা. জাহেদ-উর-রহমান-বলেন
"জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি ছিল জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তির বিস্ফোরণ। যখন রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা, বৈষম্য ও নিপীড়ন জনগণের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই এমন অভ্যুত্থান ঘটে। তবে আমাদের জানতে হবে—এই অভ্যুত্থানগুলো শুধু আবেগ নয়, একটি বৃহৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। ইতিহাসের বিকৃতি নয়, সঠিক পাঠ দরকার তরুণদের, কারণ তারা-ই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক। বর্তমান সময়েও বিভ্রান্তি রয়েছে—কে আসল নেতা, কে জনতার পক্ষে—এই প্রশ্নগুলো এখনো উত্তরহীন। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষাই বলছে, জনগণের শক্তির কাছে কোনো স্বৈরতন্ত্র টিকতে পারে না।"
তিনি আরও বলেন, *"আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিই, তবে ভুল আবারও ফিরে আসবে। তাই প্রয়োজন সচেতন রাজনীতি, স্পষ্ট চিন্তাভাবনা এবং মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্বের।"
বিশেষ অতিথি প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব বলেন_"আমি রাজনীতিবিদ নই, কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনীতি। হাতিয়ার মানুষ বছরের পর বছর অবহেলিত—কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি একটি উন্নত দ্বীপের, যেখানে ঘরে ঘরে শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে—যেখানে রাষ্ট্র থেমে যায়, সেখান থেকে জনগণ শুরু করে। আমরাও যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তবে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব। তরুণদের বলব—ইতিহাস জানো, কিন্তু কেবল বই পড়ে নয়—বুঝে জানো। শুধু অতীত নিয়ে তর্ক নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবো। একটি চরাঞ্চলের ছেলে হয়েও আমি আজ এই মঞ্চে এসেছি, কারণ মানুষের ভালোবাসা আমাকে এ পর্যায়ে এনেছে। এই ভালোবাসার প্রতিদান আমি কাজ দিয়ে দিতে চাই।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, *"উন্নয়ন শুধু শহরের জন্য নয়, চরাঞ্চলের জন্যও চাই রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ, নীতিনির্ধারণে অগ্রাধিকার। আমি হাতিয়ার সন্তান হিসেবে সেই লড়াইয়ে আছি, ছিলাম এবং থাকব।"
এই বক্তব্যগুলো বাস্তবসম্মত, আবেগময় এবং রাজনৈতিক শুদ্ধতা বজায় রেখে রচিত, যা একটি পত্রিকার রিপোর্টে বা নিউজ ফিচারে ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে এটিকে ভিডিও বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট বা সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতিতেও রূপান্তর করে দিতে পারি।
রাজনীতির জটিলতা, গণআন্দোলনের বিভ্রান্তি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় দিকচিহ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ করেন আলোচকগণ। উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ছাত্রনেতা ও সচেতন তরুণ প্রজন্ম।
অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব ও মুক্ত আলোচনা। আলোচনা সভার শেষে আয়োজকগণ আগামী দিনে আরও সচেতনতা মূলক কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দেন।