বিশেষ প্রতিনিধি:সাইফুল ইসলাম তুহিন
ঢাকা, ২১ জুলাই ২০২৫ — মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে গোটা দেশ আজ শোকগ্রস্ত ও উৎকণ্ঠায়। এই দুঃসময়ে একটিই নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে—অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। যিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন, বরং অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারির ক্ষেত্রে পুরো এশিয়ায় পরিচিত এক কিংবদন্তি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা এই চিকিৎসক শত শত জটিল দগ্ধ রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নতুন জীবন। তাঁর decades-long অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বিতর্কের কেন্দ্রে। হ্যাঁ, তিনি স্বৈরাচার সরকারের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে প্রশ্ন হলো—আজকের এই বিপর্যয়ে আমরা কি একজন মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় আগে দেখবো, না তার চিকিৎসা দক্ষতা?
মানবিক সংকট কোনো দল চেনে না, কোনো মতবাদ মানে না। যারা আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তাদের দরকার সঠিক ও অভিজ্ঞ চিকিৎসা। আর এদেশে অগ্নিদগ্ধ রোগীর ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতার অপর নামই ডা. সামন্ত লাল সেন।
“আপনারা দয়া করে রাজনীতির বাইরে এসে রাষ্ট্রের এই সম্পদকে কাজে লাগান। তাকে অনুরোধ করুন, আহ্বান জানান—তিনি যেন আবার সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন চিকিৎসায়। এটি সময়ের দাবি, মানবতার ডাক।”
আমাদের সন্তানদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, এখন প্রয়োজন ত্যাগ, ঐক্য ও বাস্তবচিন্তা। ভুলে যাই অতীত বিভাজন—সামন্ত লাল সেন এখনই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানুষ।